রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিন-চারজন আমাকে নতুন দল গঠনের পরামর্শ দেন। তাদের আমি বলেছি, ৩২ বছর পর আমার দল ত্যাগ করা সম্ভব নয়। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করবো।

[৩] তিনি আরও বলেন, গত ৩২ বছর ধরে বিএনপিতে আছি। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত আছেন। অত্যন্ত নোংরা রাজনীতি। নির্বাচনের সময় নানা ধরনের কলা-কৌশল করা হয়। যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা চেষ্টা করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য কিছু লোক ভাগিয়ে এনে অন্য কোনো দলে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার।

[৪] মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বানানীতে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মেজর হাফিজ।

[৫] গণমাধ্যমে প্রকাশিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিএনএমে যোগ দেওয়ার ছবি প্রসঙ্গে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এটা তো গোপন করার কিছু নয়। আমাকে অ্যাপ্রোচ করেছিল, আমি গ্রহণ করিনি। সাকিব আল হাসান দেশের গৌরব, তিনি এখানে কিছু করতে পারেনি। তবে অন্য কোথায় যোগ দিয়েছে।

[৬] তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। সাকিবের সঙ্গে আমার ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।

[৭] বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকব। এটা থেকেই সে (সাকিব) আসছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখায়নি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি।

[৮] তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মনে হয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আমার বিরুদ্ধে এটা করেছে। আমি সরকারের শেষ সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি খেজুরের বদলে বরই খেতে বলিনি। সিন্ডিকেট করতে দেইনি। আমি বাবার দেওয়া বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো অভিযোগও নাই। সম্পাদনা: ইকবাল খান